সকালে সময় প্রতিবেদকঃ রাজধানীর দক্ষিণখানে রেজা, বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। ওই বাহিনীর লোকজন প্রতিনিয়ত মানুষের ফ্লাট বাড়ি দখল করে আসলেও স্থানীয় থানা পুলিশ অজ্ঞাত কারণে কেন ব্যবস্থা নেয় না। রোববার সকালে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন। ভুক্তভোগি এহছানুর রহমান সবুজ।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, তিনি দক্ষিণখান এলাকার আশকোনায় গত চারমাস যাবত হোটেল জমজম পরিচালনা করে আসছেন। গত ১ ডিসেম্বর সকালে সোহেল রেজাসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন সন্ত্রাসী তার ওই হোটেলের পরিচালক আওলাদকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, মারধর ও ভয়ভীতি দেখিয়ে বাসা থেকে বের করে দেয়। এছাড়া বাসার ১৯ গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় স্থাপিত সিসি ক্যামেরাগুলো ভেঙ্গে নষ্ট করে ফেলে। রাতে সোহেল রেজাকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তাকেও একইভাবে নানা গালিগালাজ করে। বর্তমানে সোহেল বাহিনীর এহেন কার্যকলাপে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এহছানের পরিবার। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। সোহেল রেজা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যু !
তিনি আরো বলেন, আশকোনা এলাকায় তিন স্বপরিবারে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছেন। ভার বাবা মারা যাওয়ার আগে- ভাই বোনের সকলের নামে সম্পত্তি আদালতের মাধ্যমে ভাগবাটোয়ারা করে যান। আদালতের সোলেনামায় উল্লেখ রয়েছে ওই জমি কারো কাছে বিক্রি করা -যাবে না। কিন্তু স্থানীয় ভূমিদস্যু চাঁদাবাজ সোহেল রেজা ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে বাড়িটি বিক্রি করে দেয়। এছাড়া নিচে হোটেল জমজম দখলে নেওয়ার চেষ্টা চালায়। গত ১ ডিসেম্বর ওই হোটেলে তার সহযোগীদের নিয়ে হামলা চালিয়ে সকলের তাদের বের করে দেয় পাশাপাশি সিসি ক্যামেরা এ বিষয়ে দক্ষিণখান খাওয়াই জিডি করা হয়েছে। স্থানীয় সংসদ -সদস্য ও প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় সোহেল রেজা এসব কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। শুধু তার পরিবারই নয় স্থানীয় অনেক পরিবার এই সোহেল বাহিনীর কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। এ অবস্থা থেকে রেহাই পেতে প্রধানমন্ত্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আইজিপিসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এহছানুর রহমান সবুজ। সংবাদ সম্মেলনে সবুজের পরিবারের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।